বুধবার (২৯ জুলাই) কাকডাকা ভোরে রাজধানীর পল্লবীতে হঠাৎ-ই বিকট বিস্ফোরণের শব্দ। পরে জানা যায়, শব্দের উৎস স্থানীয় থানা। ততক্ষণে আশাপাশে জড়ো হয়েছে উৎসুক জনতা। হাজির গণমাধ্যম কর্মীরাও।
পুলিশের দাবি, মঙ্গরবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, কালশী কবরস্থান এলাকা থেকে আটক করা হয় সন্ত্রাসী রফিকুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও মোশাররফ হোসেনকে। এ সময় উদ্ধার করা হয় দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি ও বিস্ফোরক ভর্তি ওজন যন্ত্র। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিস্ফোরিত হয় ওজনযন্ত্রটি। এতে আহত হন চার পুলিশসহ ৫ জন। পরে নিষ্ক্রিয় করা হয় দুটি বোমা।
পল্লবী থানায় বিস্ফোরণের দায় এখন আটক তিনজনের কাঁধে। তাদের মধ্যে রফিকুল ও শহিদুল মিরপুরের স্থানীয়। আর মোশাররফের বাড়ি টঙ্গী।
তারা আসলেই সন্ত্রাসী কি না, অনুসন্ধানে শহিদুলের বাউনিয়ার বাসায় যায় চ্যানেল24। পরিবারের জানায়, শহিদুল তেতুলিয়া পরিবহনের চালক। দাবি, গত ২৭ জুলাই এলাকারই একটি চায়ের দোকান থেকে দিনে দুপুরে ডিবি পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। মিলেছে কালো গাড়িতে নিয়ে যাবার সিসিটিভি ক্যামেরার সেই ফুটেজও।
ওই দিনই থানায় সাধারণ ডায়েরি করে শহিদুলের পরিবার। অভিযোগ দেয়া হয় র্যাবেও। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানও মিলে যায় পরিবারের সঙ্গে।
অথচ থানার পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। যদিও আরও দুটি বোমা কীভাবে এলো মেলেনি সেই উত্তর।
সূত্র -চ্যানেল24